Publisher: Medical Book Suppliers
Language: Bengali
ISBN:***********************
Year: 2019
Edition:1st
Pages:1069
Author: WILIAM BOERICK
Product Type: Hardcover
Condition:New
পুস্তকখানি নবম সংস্করণে প্রকৃতপক্ষে আমি পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করেছি ভবে সুবিশাল হোমিওপ্যাথিক মেটিরিয়া মেডিকা ব্যবহারিক ক্ষেত্রের উপযোগী করে কিছুটা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।
ঔষধগুলিকে সাজিয়ে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি তৎসহ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ সমূহের উল্লেখ করেছি। রোগীর আরোগ্য লাভের পথ সুগম করার জন্য ঔষধের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলোর কথাও এখানে আছে। এছাড়া বহু নূতন নূতন ঔষধের পরীক্ষিত লক্ষণসহ যথার্থ বিবরণ এখানে সংযোজিত করা হয়েছে। নূতন ঔষধসমূহ এবং আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে লব্ধ এবং প্রকাশিত তথ্য এখানে যথাযথভাবে বর্ণিত হয়েছে। মেটিরিয়া মেডিকার অধিকাংশ তথ্যগুলোকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে প্রকাশ করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে বলো ঔষধ এ পর্যত পাওয়া গেছে তার সবগুলোই এখানে আছে এবং সুবিস্তৃত লক্ষণাদিসহ কর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন কতকগুলো লক্ষণগত তথ্য ও উপযোগীতার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এখনো যথার্থভাবে হয় নাই তবুও উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে পরবর্তী-কালে এই সূত্র অনুসরন-পরীক্ষা ধরে করার চেষ্টা করেন। এর ফলে আমাদের ঔষধের ভান্ডার শ্রীবৃদ্ধি
এবং পরিপুষ্টি লাভ করার সুযোগ পাবে। সকল ঔষধ পরীক্ষিত হয়েছে এবং প্রয়োগ করে সুস্পষ্ট ফল পাওয়া গেছে। সেগুলোকেই
মেটিরিয়া মেডিকায় স্থান দেওয়া উচিত। এর পরবর্তী ফলাফল এবং তথ্যগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে চিকিৎসকগণই অভিমত প্রকাশ করবেন। ঔষধের বিবরণ এবং তথ্যগত গুণের কথা এখানে প্রকাশ করা হয়েছে তার সত্যতা সম্পর্কে বিচারের ভার ছাত্রদের উপর ন্যাস্ত করা হল। এই প্রসঙ্গে -আমি সেই প্রবীণ ডাঃ কনষ্ট্যানটাইন হেরিং-এরমতামত উপেক্ষা করতে পারিনা। যে সমস্ত দ্রব্য শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং সেই কারণে লক্ষণানুসারে ইহাদেরকে ঔষধরূপে ব্যবহার-করা চলে, তিনি সেগুলোকেও মেটিরিয়া মেডিকায় স্থান মেবার পক্ষপাতী। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র বহুমুখী নয় বরং সর্বতোমুখী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র সকল বস্তুর ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে সে বস্তু খাদ্য হোক, পানীয় হোক বা বিষই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবান, রুপ্ন, জন্তু এবং উদ্ভিদের উপর ইহার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ পরিচালনা করে সত্যাসত্য যাচাই করার চেষ্টা করে। প্রসঙ্গক্রমে সেই প্রাচীনকালের ধর্মগুরু পলের কথাটি উল্লেখ করা যায়। সবকিছুই পরীক্ষা করে দেখ। এক্ষেত্রে কথাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ হোমিওপ্যাথি শাস্ত্র অনুসারে পরীক্ষিত ঔষধের লক্ষণাবলী অবলম্বন করে রোগীর উপর যথার্থভাবে প্রয়োগ করলে সর্বক্ষেত্রেই এই মূল্যবান নীতিটির তাৎপর্য বুঝতে পারা যায়। আমাদের শরীর বিজ্ঞান শাস্ত্রের উন্নতির সঙ্গে অনাবশ্যক লক্ষণসমূহ অতি অনায়াসে বাদ দিতে পারি। এই প্রসঙ্গে আর একটি কথা আমরা উল্লেখ করতে পারি যে ঠিকমত পরীক্ষিত হয় নাই এমন সব ঔষধের লক্ষশারলী বর্ণনার ক্ষেত্রে কখনো কখনো রোগের নাম উল্লেখ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যদি বা সেই ক্ষেত্রে ঐ রোগের অর্ন্তভুক্ত লক্ষনগুলোর বিবৃতির একান্ত প্রয়োজন আছে এবং এই লক্ষণগুলোর রোগ নিবারণক্ষম ঔষধটি নির্বাচন ক্ষেত্রে বিধিবড্ড রিপায়। এই ক্ষেত্রে ভাই হেরিং হচ্ছেন আমার অগ্রগামী পথ প্রদর্শক এবং তিনি নিজেও তাঁর গাইডিং নিম্পনে নামক মূল্যবান গ্রন্থে এই আদর্শ অনুসরণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, কোন রোগের কথা উল্লেখ করার উদ্দেশ্যে তাঁর এইরূপ ছিল না যে, তিনি সেই রোগের জন্য ঐ ঔষধ সুপারিশ করেছেন, কোন লক্ষণ বিশিষ্ট রোগে কত বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে তা প্রদর্শন করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। অবশ্য সেই ঔষধ অন্য যে কোন প্রকারেই নির্দেশিত হোক না কেন। সেই কারণে ঔষদের লক্ষণ বিবরণ ক্ষেত্রে এবং থেরাপিউটিকস্ ইনডেক্স রোগের বিভিন্ন প্রকার বর্ণিত নাম সমূহের উল্লেখ করেছি। ইহার আর একটি কারণ এই যে গ্রন্থশনি আমাদের ব্যবহারিক জীবনে কাজে আসতে পারে রোগ নিরাময়ের পথকে অধিকতর সুগম করে তুলতে পারে। এই অনুরূপ মত প্রকাশ করেছেন ডাঃ জে. কম্পটন বার্নেট।
সঠিক ঔষধ নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রকার উপায় আমাদের প্রয়োজন। প্রথমে সহজ উপায়ে পরে অপেক্ষাকৃত জটিল উপায়ে নির্ধারিত সম লক্ষণ বিশিষ্ট ঔষধ খুঁজে বের করা প্রয়োজন এবং সর্বাপেক্ষা জটিল উপায় হচ্ছে রোগ বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করা। আমরা এই ক্ষেত্রে যে কোন উপায়ই অবলম্বন করি না কেন, হোমিওপ্যাথির মূল নীতির জন্যেই আমাদের অবস্থান করতে হবে। কোনক্রমেই এই নীতির আদর্শ থেকে দূরে চলে যাওয়া উচিত নয়। বিজ্ঞানসম্মত নীতির উপরই এই শাস্ত্র প্রতিষ্ঠিত অতএব ইহাকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই এই গ্রন্থে ঔষধের ক্রম সম্বন্ধে যা উল্লেখ করা হয়েছে সে জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, ক্রমের এই উল্লেখ পরামর্শ দান মাত্র, ইহা না মানলেও কোন ক্ষতি নেই, ক্রম উল্লেখ ক্ষেত্রে আমি প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের রীতিনীতি অনুসরণ করেছি আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উল্লেখ করেছি। যে ক্রমগুলো বহুদিন থেকে শাস্ত্রে প্রচলিত আছে আমি ঠিক তাই অনুসরণ করতে চেষ্টা করেছি। অনেক সময় ছাত্রগণ মেটেরিয়া মেডিকায় শিক্ষকদের কাছে ক্রম সম্বন্ধে কিছু জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। সেই জন্য উহার উল্লেখ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি, এই গ্রন্থখানিকে বিচারের মানদন্ড হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কতগুলো ঔষধের লক্ষণগত বৈশিষ্ট্য লাভ করা হচ্ছে এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যতটুকু লক্ষণগত বৈশিষ্য পাওয়া গেছে সেগুলোকেই শুধু এই গ্রন্থে সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লব্ধ তথ্য এখানে যথাযথভাবে উল্লেখ করতে চেষ্টা করেছি। আশাকরি গ্রন্থখানি ছাত্রদের এবং চিকিৎসকদের অনেক সমস্যায় সমাধানে পথ সুগম করবে। এছাড়া হোমিওপ্যাথি শাস্ত্রে অনুরাগীদের
পক্ষে ও গ্রন্থখানি উপকারী হবে।
গ্রন্থখানির এই নবমসংস্করণে মিঃ এফ, আর্নেস্টি আমাকে সাহায্য করেন। তিনি সব পান্ডুলিপি দেখে দিয়েছেন, তাঁর সাহায্য পেয়েই আমি মুদ্রণ কার্য সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই জন্য ধন্যবাদ |